ডিলারশিপ নিতে গিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার দমদমের এক বাসিন্দা। অভিযোগ এমনটাই। কার্যত জীবনের অধিকাংশ সঞ্চয় তিনি খুইয়ে ফেলেছেন। এমনকী ঋণ নিয়েও সেই টাকা অনলাইনে তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা চাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, ডিলারশিপ নেওয়ার জন্য প্রথমে ওরা সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা দিতে বলেছিল। তার পরিমাণ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা। সেই টাকা অনলাইনে মিটিয়ে দেন তিনি। এরপর ফের ২ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তবে এই টাকা ফেরৎযোগ্য বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। দুদিন পর জানানো হয় গুজরাট থেকে সব জিনিসপত্র চলে আসছে। এজন্য ২লক্ষ টাকা প্রোডাক্ট ভ্যালু দিতে হবে।
এরপর দরাদরি করে ৫০ হাজার টাকার জিনিসপত্র কিনতে রাজি হন তিনি। এরপর তিনদিনের মাথায় বলা হয় ৫০ হাজারের জায়গায় ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এর সঙ্গেই কোভিড পরিস্থিতি ও জিএসটির জন্য আরও ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। এদিকে ততক্ষণে ওই ব্যক্তির সঞ্চয় প্রায় শেষ। তবুও লোন নিয়ে সেই টাকাও অনলাইনে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। মোট ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়ার পরে বলা হয় আরও টাকা পাঠাতে হবে। এরপর দমদমের ওই বাসিন্দা দাবি করেন, কাউকে পাঠান। তার হাতেই টাকা দেব। তবে কাউকে পাঠাতে অস্বীকার করা হয়। এরপরই সন্দেহ হয় ওই বাসিন্দার। তিনি দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে টাকা ফেরৎ দেওয়া তো দূরের কথা তাঁর ডিস্ট্রিবিউশন বাতিল করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সব মিলিয়ে কার্যত অথৈ জলে ওই ব্যক্তি।