নিজেকে বেথুন কলেজের অধ্যাপক বলে পরিচয় দেয় এক ব্যক্তি। এই পরিচয় দিয়ে এক ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করে সেই ব্যক্তি। এমনকী সেই ছাত্রীর পঠন–পাঠনের দায়িত্ব সে নেবে বলেও জানায়। এরপর শুরু হয় আসল খেলা। ছাত্রীকে মাঝে–মধ্যেই এই ব্যক্তি ডাকত নিজের বাড়িতে। এমনকী মডেলিংয়ের পরামর্শ দিত। এভাবেই ছাত্রীর বিশ্বাস অর্জন করে তাকে অপহরণ করল এই ভুয়ো শিক্ষক। পরিবারের অভিযোগে ওই ভুয়ো অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ভুয়ো অধ্যাপকের নাম পলাশ প্রতিম বৈদ্য। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অপহৃত যুবতী বেথুন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। কলেজেই এই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় পলাশের। নিজেকে অধ্যাপক বলেই পরিচয় দেয় সে। ছাত্রীকে সাহায্য করবে বলে সেই সূত্র ধরেই তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয় পলাশের। তার কথাতেই কলেজ হস্টেলে থাকা শুরু ওই ছাত্রীর।
পরিবারের অভিয়োগ ঠিক কী? পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে, এই ব্যক্তি নানা কারণে বেশকিছু টাকাও নিয়েছিল। তারপর হঠাৎই মেয়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। এই পলাশকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলেও কোনও সদুত্তর মিলছিল না। আবার মেয়ের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই প্রথমে কলেজে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে জানা যায় এই নামে কোনও অধ্যাপক এখানে নেই। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা গিয়েছে, মেয়ের খোঁজ না পেয়েমাথায় বাজ ভেঙে পড়ে পরিবারের। তখন বারুইপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযুক্তের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এই ভুয়ো অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছাত্রীকে পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করত, অপহরণ করা হয়েছিল এবং মডেলিংয়ের নাম করে ছাত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছে অভিযুক্ত।