স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু সেই রেশন মিলছে না বলেই অভিযোগ উঠেছে। তার সঙ্গে করোনাভাইরাসের রক্তচক্ষুতে মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না মানুষজন। জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আট দিন হয়ে গেলেও রাজ্যে চালু করা গেল না কেন্দ্রের বিনামূল্যের রেশন।
মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে রেশন দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, অন্যান্য রাজ্যে এই প্রকল্পের রেশন চালু হলেও এই রাজ্যে বরাদ্দ অনুযায়ী ধানই এখনও কেনা হয়নি। রেশন ডিলারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানোও হয়েছে ফুড কর্পোরেশনকে। রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। তাই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ চাল কেনার প্রক্রিয়াই শুরু হয়নি।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থার একাধিক আধিকারিক করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই অফিসের কাজ শিকেয় উঠেছে। তাই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা চাল কেনার ব্যবস্থা দেখভালের লোক নেই। রাজ্য খাদ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, কেন্দ্রের বরাদ্দ অনুযায়ী বিনামূল্যে এই রাজ্যের জন্য রেশনের চাল পাঠানোর কাজ ফুড কর্পোরেশন শুরুই করেনি। এখনও চাল কিনতে পারেনি তারা। তার সঙ্গে কাজের দেখভাল করার লোক নেই।