একুশের নির্বাচনের সভা থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসে তা চালু করেছেন। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়ে তিনি এক দেশ, এক রেশন ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন। আর একুশের মঞ্চ থেকে তিনি গোটা দেশের মানুষের দুয়ারে রেশন দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন। যা নিয়ে এখন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন দেশের আপামর দরিদ্র মানুষজন।
বুধবার ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০২৪ সালে আমাদের ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে দেশজুড়ে বিনামূল্যে দেওয়া হবে রেশন। নিখরচায় দেশবাসী পাবে চিকিৎসা পরিষেবা। গুজরাত নয় বাংলাই হলো গোটা দেশের মডেল।’ তৃণমূল নেত্রীর এই ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই বৃহৎ পরিষেবা মানুষের দরজায় নিয়ে যাওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার এই ঘোষণার পর চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এই ঘোষণা যখন তিনি করছেন তখন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার শুনতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, শরদ পাওয়ার, রামগোপাল যাদব, জয়া বচ্চন–সহ জাতীয় রাজনীতির প্রথমসারির নেতারা। সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তা নিয়ে আর সন্দেহ নেই। এখান থেকেই তিনি বার্তা দিয়েছেন, ‘দেরি করবেন না। যত সময় নষ্ট করবেন তত এই ব্যর্থ সরকারকে সরাতে দেরি হয়ে যাবে।’
তারপরেই নিজের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের জন্য প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে সকলকে বিনামূল্যে রেশন ও চিকিৎসা দেওয়া হবে। ভারত উন্নয়ন চায়। ভারত শক্ত অর্থনীতি চায়। ভারত কৃষক, শিশু, মহিলা, দরিদ্রদের উন্নয়ন চায়। বিজেপি কিছু করছে না। আপনি কটা রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেন প্রধানমন্ত্রী? আমাদের জোট ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে।’