বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৩০ নভেম্বর এই প্রকল্প বন্ধ করে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আরও ৬ মাস চালু রাখার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। আর রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু রাখছে বলে রবিবার মাইকেল নগরের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এদিন তিনি বলেন, ‘বিনামূল্যে রেশনের জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ যা রয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা দেওয়া হচ্ছিল, সেটা ওরা বন্ধ করছে। গরীব কল্যাণের নামে সাময়িকভাবে মানুষকে সুবিধা দিয়ে হঠাৎ করে বন্ধ চরম অসুবিধায় ফেলতে চাইল। যদিও এর কারণ জানা নেই। তবে রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথীর মাধ্যমে যে রেশন ব্যবস্থা রয়েছে তাতে মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া জারি থাকছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রেশন বন্ধের এই সিদ্ধান্ত।’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছিলেন, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। খাদ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কবে কোথায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প হবে, তা পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। নির্দিষ্ট কোনও পাড়া, গ্রাম বা পল্লিতে খাদ্যশস্য, ই–পাস এবং ওজন করার মেশিন নিয়ে হাজির হবেন রেশন ডিলাররা।
অন্যদিকে সেখানে হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে বাংলার কোনও সমস্যা হবে না বলে খাদ্য দফতর সূত্রে খবর। তবে গরীব মানুষ দেশে প্রচুর। তারা কেন্দ্রীয় প্রকল্প পাবেন না। করোনাভাইরাস আবহে যা চালু ছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এই সংক্রমণের প্রকোপ একেবারে নির্মূল হয়নি। সুতরাং বাংলার মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেলেও দেশের মানুষ পাবেন না।