পিএসি চেয়ারম্যান পদ পাওয়া নিয়ে বিধানসভার ভেতরে–বাইরে আওয়াজ তুলেও ঠেকানো যায়নি। তাই এবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে মাঠে নামছে বিজেপি। শুক্রবার শুনানি বিধানসভায়। স্পিকারের ঘরে হবে শুনানি। সেখানে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা রণকৌশল ঠিক করে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এখন দেখার কার চালে কে কিস্তিমাত হয়।
বিধানসভার অধিবেশন বয়কট করার পর এই প্রথম সরাসরি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগে কোনও বৈঠক বা সৌজন্য সাক্ষাৎকার হয়নি স্পিকার ও বিরোধী দলনেতার। সেক্ষেত্রে এটাই হবে হাইভোল্টেজ সাক্ষাৎকার। ইতিমধ্যেই স্পিকারের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে নালিশ ঠুকেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর এই সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে স্পিকারকে দেওয়ার জন্য সেটা খ্যাতনামা আইনজীবী রাম জেঠমালানির পুত্র মহেশ জেঠমালানি এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব তৈরি করেছেন। এমনকী তাতে চোখ বুলিয়েছেন বিজেপির কল্যাণীর বিধায়ক তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অম্বিকা রায়।
এখানেই শেষ নয়, মুকুলের বিরুদ্ধে জমা পড়বে ভিডিও সিডি। আর এই শুনানিতে সেই সিডি নিয়ে যাওয়ার কথা শুভেন্দুর। সেই সিডিতে আছে ১১ জুন মুকুল রায়ের তৃণমূল ভবনে যাওয়া, উত্তরীয় গ্রহণ করা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে থাকা, কথা বলা–সবকিছু। একইসঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মুকুল রায়কে নিয়ে নানা ভিডিও, অডিও এবং লেখার কাটিং নিয়ে যাওয়া হবে। অর্থাৎ সব আটঘাট বেঁদে স্পিকারের মুখোমুখি হবেন শুভেন্দু।
এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়েরও কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর স্পিকার যদি বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা করেন, তাহলে বিজেপি নেতৃত্ব আদালতের দ্বারস্থ হবেন। উল্লেখ্য, ২০১৬–২০২১ সালের মধ্যে দলবদলু বিধায়কের সংখ্যা ৪০–এর আশেপাশে ছিল। কিন্তু বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি কোনও দলবদলুর।