ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তাঁর বন্ধু ও গুণমুগ্ধরা। শুক্রবার লালবাজারে গিয়ে এব্যাপারে আবেদন করেন তাঁরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের উল্লেখ থাকলেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চালিয়ে যেতে পুলিশকর্তাদের আবেদন করেছেন তাঁরা।
এদিন লালবাজারে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শর্বরী দত্তর বন্ধুরা জানান, শর্বরীদেবীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতন চলছিল। অভিযোগের তির মূলত অমলিন দত্ত ও পুত্রবধূ কনকলতার বিরুদ্ধে। ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ছেলে ও পুত্রবধূর আচরণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন শর্বরীদেবী। যার ফলে নানারকম ওষুধ খেতে হচ্ছিল তাঁকে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় ফ্যাশন ডিজাইনা শর্বরী দত্তর দেহ। পরিবারের দাবি, সারাদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা না-যাওয়ায় রাতে তাঁর ঘরে ঢুকে দেখা যায় শৌচাগারে পড়ে রয়েছেন তিনি। পারিবারিক চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর দেহ নিয়ে যায় পুলিশ।
পরদিন ময়নাতদন্তে জানা যায় ভোর রাতে শৌচাগারে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় শর্বরীদেবী। সেখানেই পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।