জেলা থেকে তুলে নিয়ে এসে কলকাতায় বন্ধুর স্ত্রীকে সারারাত গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। এই গটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও তৈরি করে দুই বন্ধু। সেখানেই পরিচয় হয় তৃতীয় যুবকের। তারপর কালের গতিতে তিন বন্ধুর বন্ধুত্ব অন্যমাত্রা নেয়। আবার এই বন্ধুত্বে দূরত্বও আসে। তখন এই তৃতীয় বন্ধুর স্ত্রীকে টোপ দিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ঠিক কী ঘটেছে বিষয়টি? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই তিন বন্ধুর বাড়িই হুগলি জেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও তৈরি করতে শেখাত দুই বন্ধু। তৃতীয় বন্ধুর স্ত্রী এই ভিডিও বানানো শিখতে চায়। সেই সূত্রে পরিচয়। আর সেই টোপ দিয়েই তৃতীয় বন্ধুর স্ত্রীকে কলকাতায় নিয়ে আসে তারা। সেখানে তাঁকে সারারাত গণধর্ষণ করে দু’জন বন্ধু। এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে শ্রীরামপুর থানায়।
নির্যাতিতার বয়ান কী? পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, শাড়ির একটি ভিডিও বানানো হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। তারপর সেই শুটিং এবং ভিডিও বানানো শেখাতে কলকাতার গড়ফার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছতেই বলা হয় মেকআপ করতে হবে। এই বলে তুলি নিয়ে এসে পেটে উল্কি আঁকা শুরু হয়। ধীরে ধীরে শাড়ি থেকে অন্তর্বাস সব খুলে নেওয়া হয়। বাধা দিতে গেলে মারা হয় এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সারারাত গণধর্ষণ করা হয়। সকালে কোনওমতে পালিয়ে আসেন নির্যাতিতা। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ অনুযায়ী শুক্রবার টোপ দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে কলকাতার গড়ফার ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় দুই যুবক। সেখানেই একটি ঘরে আটকে রেখে সারারাত ধরে গণধর্ষণ করা হয় স্ত্রীকে। এরপর নির্যাতিতা শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা জানালে দুই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।