আজ রাতটা পেরোলেই শুক্রবার সকাল থেকে পড়ুয়াদের ছুটতে হবে স্কুল মুখে। আনলক পর্বে এখন এটাই নয়া সংযোজন। আবার স্কুলে শোনা যাবে ঘন্টার আওয়াজ। করোনার জেরে এতদিন চলছিল অনলাইনে পঠনপাঠন। এবার শুরু অফলাইন। কিন্তু করোনার জেরে মাঝে কেটে গেল প্রায় ১১ মাস। তবে শিক্ষা দফতরের কোভিড নিয়মাবলী মেনে স্কুলে আসবে নবম–দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।
এই পরিস্থিতিতে স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজ করার কাজ। পড়ুয়াদের মাস্ক পরে স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক। প্রায় ২৮ পাতার নিয়মবিধি নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ জানান, শিক্ষা দফতরের পাঠানো বিধি মেনে স্কুল খুলতে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। যদিও নিয়ম সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও থেকে যাচ্ছে ঝুঁকি। কারণ করোনা এখনও চিরতরে বিদায় নেয়নি। কে যে করোনার কেরিয়ার হয়ে আসবে তা বোঝা যাচ্ছে না। আবার এত বিধি মানতে গিয়ে শিক্ষক ও কর্মীদের উপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, যে যে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি, সেখানে রুটিন তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে। আবার কোভিড বিধি মানলে, সবাইকে রোজ স্কুলে আনা সম্ভব নয়। পড়ুয়ারা এলেও ছ’ফুট দূরত্বে সবাইকে এক একটি সেকশনে বসানো খুবই কঠিন। এই বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্কুলগুলির মধ্যে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধানশিক্ষকের কথায়, ছাত্র সংখ্যা বেশি থাকায় সমস্ত বিধি মেনে চলা কঠিন। তাছাড়া অষ্টম শ্রেনীর ক্লাস শুরু না হওয়ায় সেই ঘরটি নিয়ে নিলেও ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে উঠছে।
আবার আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল এখনও পুরোপুরি সারানো সম্ভব হয়নি। সেক্ষেত্রেও ক্লাস–ঘরের সমস্যা হতে পারে। কলকাতা ও শহরতলির স্কুলগুলিরও ক্লাস–ঘরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আরও একটি বড় সমস্যা হল— নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষকদের স্কুলে এসে ক্লাস নিতে হবে। সেক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাসের সময় পাওয়া যাবে তো? উঠছে প্রশ্ন।