লোকাল ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা সাধারণত একমাস বা তিন মাসের ‘সিজন টিকিট’ কেটে নেন। এটাকে অনেকে মান্থলিও বলেন। কিন্তু যাঁরা মাঝে মধ্যে লোকাল ট্রেনে সফর করেন তাঁরা দৈনিক টিকিটি কেটেই যাত্রা করে থাকেন। এই লোকাল ট্রেনের টিকিট বাতিল করা যায়। তার জন্য কিছু নিয়ম আছে। আবার রিটার্ন টিকিট কাটা থাকলে মিলতে পারে নানা সুবিধা।
কেমন সেই সব নিয়ম? রেল সূত্রে খবর, লোকাল ট্রেনে সফরের তিনদিন আগেও অসংরক্ষিত টিকিট কেটে রাখা যায়। তবে কমপক্ষে দূরত্ব হতে হবে ২০০ কিলোমিটার। যে কোনও দূরত্বের জন্যই দিনের দিনও অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যায়। সেক্ষেত্রে কোনও দূরত্বের শর্ত নেই।
আবার কোনও যাত্রী যদি মনে করেন তাহলে মাসিক, ত্রৈমাসিক এমনকী চাইলে ৬ মাস বা একবছরের টিকিটও একসঙ্গে কাটতে পারেন। তাতে কিছু ছাড় মিলতেও পারে। এখন ফের চালু হয়ে যাচ্ছে লোকাল ট্রেন। যা করোনাভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। রাত পোহালেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
লোকাল ট্রেনের প্রতিটি টিকিটে লেখা থাকে—এক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রেনে সফর করা নিয়ম। সেটা না করলে রেল জরিমানাও হতে পারে। আবার অসংরক্ষিত টিকিট বাতিল করাও যায়। তাও আবার টিকিট কাটার তিন ঘণ্টার মধ্যে। আগাম টিকিটের ক্ষেত্রে যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে। তবে এটা করলে ভাড়ার একটা অংশ কাটা যায়। কিন্তু যদি টিকিট ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে কাটা হয় তাহলে আর বাতিল করা যায় না।
রিটার্ন টিকিটের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। সেটা হল— যেদিন রিটার্ন টিকিট কাটা হয় তার পরেরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত সেই টিকিটে যাতায়াত বৈধ। এমনকী রিটার্ন টিকিট যদি শুক্রবার কাটা হয়, তাহলে তা শনিবার–রবিবার এবং সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত তা বৈধ। অনায়াসে সেই টিকিটে সফর করা যায়। তাতে কোনও জরিমানা হয় না।