কসবার ভুয়ো ক্যাম্পে করোনাভাইরাস টিকা পাঠানো হয়নি। এমনটাই জানাল কলকাতা পুরনিগম। তা নিয়ে ইতিমধ্যে কসবা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ। তার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোথা থেকে টিকা এল কসবার ওই ক্যাম্পে? আদৌও কি টিকা দেওয়া হয়েছে?
গত কয়েকদিন ধরেই কসবার ওই ভুয়ো ক্যাম্প টিকা দেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই সেখান থেকে টিকা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার টিকা নিতে নেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তিনি টিকাকরণের কোনও শংসাপত্র না পাওয়ার পর জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসে। রাজডাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবকে। তিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতার জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিচ্ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হযেছে ভুযো পরিচয়পত্র। অভিযোগ, তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের জাল সই ব্যবহার করা হয়েছে।
দেবাঞ্জনের গ্রেফতারির পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে টিকা আসছিল ওই ক্যাম্পে? কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে কোনও টিকা পাঠানো হয়নি। সেক্ষেত্রে কোথা থেকে টিকা আসছিল ওই ক্যাম্পে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুরো বিষয়টি কীভাবে স্বাস্থ্য দফতরের নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও একাংশের আশঙ্কা, আদৌও টিকা দেওয়া হচ্ছিল তো? নাকি টিকার পরিবর্তে অন্য কিছু দেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা। যাঁরা ওই ক্যাম্প টিকা নিয়েছেন, তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন।
ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টির তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছেন যে বাগরি মার্কেট থেকে টিকা কিনেছিলেন। তা কোভিশিল্ড বলে দাবি করেন দেবাঞ্জন। যদিও পুলিশের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।