দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে কী পরিমাণ সাড়া পড়েছে এই প্রকল্পকে ঘিরে। এর সঙ্গেই যাবতীয় সংশয় দূরে রেখে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন পরিবারের একাধিক মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। ২২ হাজার ক্য়াম্প আর আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৩০ লক্ষ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে ঘিরে নানা আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এরপর যেন আরও নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন লক্ষ লক্ষ মহিলা।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রাপকের সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়ে গিয়েছে ২ কোটি ৬০ লক্ষ। আর এখানেই প্রশ্ন এই যে প্রাপকের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে সেক্ষেত্রে টাকার যোগান কোথা থেকে আসবে। এনিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। নানা দিক থেকে খরচ কমিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে সচল রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের খরচ কমিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য় টাকা জোগাড়ের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তা কী আদৌ সম্ভব?
সরকারি সূত্রে খবর আগে ঠিক ছিল পরিবারের প্রধান মহিলা যাঁর নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে তিনিই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। তবে বর্তমানে পরিবারের একাধিক মহিলাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এর জেরে প্রাথমিকভাবে বাজেট বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে বাজের বেড়ে গিয়ে ১৭ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। কিন্তু এই টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।