নির্ধারিত সময়সীমার এক বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কালীঘাট স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি মেয়র দ্রুত নির্মাণসংস্থাকে এই কাজ শেষ করতে বলেছেন। জানা গিয়েছে, এই স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কাজ শেষ হতে আর মাসখানেক সময় লাগবে। যদিও এ বছরের মধ্যেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানায়নি সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: স্কাইওয়াকের কাজের গতি দেখে ক্ষুব্ধ মেয়র, কর্মী বাড়িয়ে দ্রুত শেষের নির্দেশ
নির্মাণকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পুরোদমে কাজ করা হচ্ছে। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রতিপদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। সেই কারণে কাজে দেরি হচ্ছে। সম্প্রতি স্কাইওয়াকের কাজ ঘুরে দেখেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, মূল কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে অন্য কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি শেষ হতে মাসখানেক সময় লেগে যাবে। এই কাজ শেষ হলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, স্কাইওয়াকের একটি দিক যাচ্ছে কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিকে। আর অন্যদিক যাচ্ছে, কালীঘাট থানার পাশ দিয়ে গুরুপদ হালদার রোডের দিকে। এক্ষেত্রে পুণ্যার্থীরা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড থেকে সোজা লিফটে চড়ে স্কাইওয়াক ধরে হেঁটে কালীঘাট মন্দিরের কাছে পৌঁছে যাবেন। সেখানে তারা লিফটে নামতে পারবেন। এরফলে নীচের রাস্তা পুরোপুরি যানজটমুক্ত হবে। জানা যাচ্ছে, স্কাইওয়াকের প্রবেশদ্বারে সন্ধ্যার পরে নীল-সাদা আলো জ্বলবে। প্রবেশপথের সামনে আলোর মাধ্যমে মন্দিরের ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শুরু হয়। গত বছরের এপ্রিলে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে না হওয়ায় এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রয়োজনে নির্মাণকারী সংস্থাকে সরিয়ে পূর্ত দফতরকে দিয়ে বাকি কাজ করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। এরপরে ফিরহাদ হাকিম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরেও সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। উল্লেখ্য, কালীঘাট স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটার এবং এটি চওড়া হবে ১০ মিটার।