ফলে দুপক্ষের মামলা চলার কারণে আইনি জটে মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয় এন আর এস হাসপাতালের মর্গে। অবশেষে গত ৬ জুলাই বিচারপতি শম্পা সরকারের নির্দেশে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে দেহ দাহ সম্পন্ন হয়। আদালতের আরও নির্দেশ, দুপক্ষ আলাদা আলাদাভাবে দেবাশিস বাবুর দেহ শ্রাদ্ধ শান্তি করতে পারবে।
দেহ দাহের অধিকার কার? তাই নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই। আর সেই আইনে লড়াই শেষে দু'বছর পর দাহ হল আনন্দপুরে বাসিন্দা দেবাশিস দাসের দেহ। আদালতের নির্দেশে গত বুধবার কেওড়াতলা শ্মশানে দেবাশিসের দেহদাহ সম্পন্ন হয়। দু'বছর ধরে তার দেহ এনআরএস হাসপাতালের মর্গে ছিল।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, দেবাশিসবাবু ২০২০ সালের ১১ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি আনন্দপুরের মাদুরদহের বাসিন্দা। এরপর তার বাড়ির পরিচারিকা চন্দ্রমণি মণ্ডল তার মৃতদের সৎকার করার জন্য হাসপাতালের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু, তিনি পরিবারের সদস্য না হওয়ায় হাসপাতাল তাকে দেহ দিতে অস্বীকার করে। পরে বেলেঘাটার বাসিন্দা আনন্দ ঘোষ নিজেকে দেবাশিসের পরিজন বলে দাবি করে এবং মৃতদেহ সৎকারের জন্য আদালতে মামলা করেন। তাই নিয়ে শুরু হয়েছিল আইনি জট।
জানা গিয়েছে, দেবাশিসের বাবা-মা বহু আগেই মারা গিয়েছিলেন। সেই বাড়িতে ১৭ বছর ধরে পরিচারিকার কাজ করছেন চন্দ্রমণি মণ্ডল। সেই সূত্রেই তিনি মৃতদেহ সৎকারের দাবি জানিয়েছিলেন। ফলে দুপক্ষের মামলা চলার কারণে আইনি জটে মৃতদেহ রেখে দেওয়া হয় এন আর এস হাসপাতালের মর্গে। অবশেষে গত ৬ জুলাই বিচারপতি শম্পা সরকারের নির্দেশে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে দেহ দাহ সম্পন্ন হয়। আদালতের আরও নির্দেশ, দুপক্ষ আলাদা আলাদাভাবে দেবাশিসবাবুর দেহ শ্রাদ্ধ শান্তি করতে পারবে।