অশোকনগরে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনি পাত্র। মঙ্গলবার বারাসত মেডিক্যাল কলেজে তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁরা সুপারের বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারের সম্মতিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে ফাল্গুনি দেবী বলেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগ রয়েছে তৃণমূলের। তারা বিধায়কের অনুগামী। অনুগামীদের বাঁচাতেই তৃণমূলের লোকজন তড়িঘড়ি তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এদিন ফাল্গুনীদেবী বলেন, নির্যাতিতার তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালের সুপার আমাদের বাধা দেন। এর পর তরুণীর মা বলেন ২ জন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু সুপার বলেন, না একজন। তার পর আমি গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করি।
তিনি জানান, এই পরিবার গঙ্গানগরের বাসিন্দা। ২০২১ সালে সেখানে তরুণীর ভাইকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পায়নি পরিবার। মৃতের ভাই বিজেপির যুব মোর্চার মণ্ডল কমিটির সভাপতি ছিলেন। এর পর পরিবারটি সেখান থেকে পালিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায় থাকতে শুরু করে।
তিনি জানান, যে চারজন ধর্ষণ করেছে তারা তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী। তরুণীকে গণধর্ষণ করার পর পেটে লাথি মারে তারা। এর পর রাস্তার পাশে ফেলে যায়। তরুণীকে তখন হাসপাতালে নিয়ে না গেলে সে মারাই যেত। দলের কর্মীদের খুনের দায় থেকে বাঁচাতে তখন তৃণমূলেরই কয়েকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই আকাশ চক্রবর্তী নামে এক অভিযুক্ত ফোন করে তরুণীকে হুমকি দেয়। বলে, নাম বললে মা - মেয়ে কেউ বেঁচে থাকবে না।
ফাল্গুনীদেবী বলেন, বিষয়টি আমরা জাতীয় মহিলা কমিশনের গোচরে আনব। সঙ্গে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে তাঁরা এব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।