নদিয়ার গাংনাপুরে মহিলাকে গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগে নির্যাতিতের দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সঙ্গে ওই মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত। কেন ঘটনার ৮ দিন পর থানায় FIR দায়ের হল সেই প্রশ্নও উঠেছে আদালতে।
গাংনাপুরের নির্যাতিতার স্বামী দুবাইয়ে কর্মরত। সন্তানদের নিয়ে মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারবেড়িয়া গ্রামে থাকতেন তিনি। গত ৬ মার্চ রাতে তাঁর বাড়িতে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। বধূকে তারা গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পর বিষ খাইয়ে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ১৪ মার্চ মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।
এই ঘটনায় গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
এদিনের শুনানিতে উঠে আসে, নির্যাতিতার ধর্ষিত হয়েছেন একথা চিকিৎসকরা কোথাও বলেননি। তাঁর দেহের ময়নাতদন্তও হয়নি। ফলে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। ১১ মের মধ্যে আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ওদিকে বিষয়টি আদালতে পৌঁছলে তৎপর হয় পুলিশও। এই ঘটনায় FIR এর ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।