বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > গড়িয়াহাট জোড়া খুন মামলায় পুলিশ হেফাজত মহিলার, খুনের উদ্দেশ্য খুঁজতে জেরা

গড়িয়াহাট জোড়া খুন মামলায় পুলিশ হেফাজত মহিলার, খুনের উদ্দেশ্য খুঁজতে জেরা

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর চাকি

আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

গড়িয়াহাটে জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া মহিলা মিঠু হালদারের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হল। বাড়ি কেনা নিয়ে বিবাদে কাঁকুলিয়া রোডে সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মিঠু হালদারকে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হবে মিঠুকে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান এই জোড়া খুনের ঘটনায় মিঠুর সঙ্গে তার ছেলে ভিকি–সহ বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। মিঠুকে জেরা করে খুনের তথ্যই বের করতে চাইছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়াবাড়ির উঠোনে রক্তমাখা জামা কাচতে বসেছিল মিঠু হালদার। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকির বাড়ির প্রাক্তন পরিচারিকা সে। বিষয়টি চোখে পড়ে যায় বাড়ির মালকিনের। সেই সূত্রেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেলে খুনির খোঁজ। গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় পরিচারিকা মিঠু হালদারকে। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

জানা গিয়েছে, বিজ্ঞাপন দেখে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকির সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত মিঠু হালদারের ছেলে ভিকি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তুখোড় ইংরাজিতে সুবীরের সঙ্গে কথা বলে সে। বাড়ি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই দ্বাদশীর দিন গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন সুবীর চাকি। তদন্তকারীদের অনুমান, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি কিনতেই চেয়েছিল মিঠু এবং তাঁর ছেলে। দরদাম নিয়ে গণ্ডগোল এবং চিনে ফেলার জেরেই কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়িচালককে খুন করা হয়।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, লুটপাট করতেই ভিকি খুন করে শিল্পকর্তাকে। তবে কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িটি ফাঁকাই ছিল। সেক্ষেত্রে ওই বাড়িতে ভিকি কি লুটপাট করত তা ভাবাচ্ছে সকলকে। এই খুনের ঘটনায় মিঠুর বড় ছেলে ভিকি এবং এক ভাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। নজরে রয়েছে ভিকির কয়েকজন বন্ধুও। আপাতত কোনও খোঁজ নেই ভিকির।

বন্ধ করুন