রবিবার রাতে গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার থেকে ঝাঁপ দিলেন তরুণী। আত্মহত্যার চেষ্টা করতেই তিনি ঝাঁপ দেন বলে মনে করা হচ্ছে। বছর ২৬-এর সেই তরুণীর নাম স্নেহা হালদার। ফ্লাইওভার থেকে ঝাঁপ দিলেও অবশ্য প্রাণে বেঁচে যান সেই তরুণী। নিচের রাস্তা দিয়ে যাওয়া এক চলন্ত ট্যাক্সির ওপর গিয়ে পড়েন তিনি। এরপর সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে সাদার্ন অ্যাভিনিউর শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধী রয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, স্নেহা কলকাতার এক গয়নার দোকানে কাজ করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত সমস্যার জেরেই নিজের প্রাণ কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন সেই তরুণী। যদিও পুলিশ নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেনি। গতকাল তরুণী প্রায় রাত ন’টা নাগাদ ফ্লাইওভার থেকে ঝাঁপ দেন। নিচে ট্যাক্সির ওপর পড়েন তিনি। ট্যাক্সিটির পিছনে কাচ ভেঙে যায় এর জেরে। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা। পুলিশই সেই তরুণীকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। অত ওপর থেকে পড়লেও তরুণীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ তরুণীর পরিবারকে খবর দিয়েছে। এক পুলিশ কর্তা ঘটনা প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘প্রায় ৫০ ফুট ওপর থেকে তরুণী নিচের রাস্তার ট্যাক্সির ওপর পড়েন। তাতে ট্যাক্সির কাচ ভেঙে যায়। তরুণী মারা যাননি তবে একাধিক ফ্র্যাকচারের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর হাতে গুরুতর চোট লেগেছে।’ জানা গিয়েছে, দুই বাইক আরোহী সেই তরুণীকে ঝাঁপ দিতে দেখে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁরা বিফল হন। সেই দুই বাইক আরোহী পুলিশকে তাঁদের বয়ান দিয়েছেন।