আমাদের দেশে ডিগ্রি নেওয়াটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। শিক্ষক দিবসে জাতীয় শিক্ষানীতির সমর্থন করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, সদ্যঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতি ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে পাশ্চাত্য’দোষ’ মুক্ত করবে।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, সবার এত ডিগ্রি নেওয়ার দরকার কী? পশ্চিমের উন্নত দেশে তো এমনটা হয় না। সেখানে প্রত্যেকে নিজের মেধা অনুসারে বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে পেশাদারি জীবনে প্রবেশ করেন। শুধুমাত্র যাঁরা গবেষণা বা অধ্যাপনায় যুক্ত হন তাঁরা উচ্চশিক্ষায় যান। তাছাড়া সেসব দেশে উচ্চশিক্ষা এত মহার্ঘ্য যে সবার পক্ষে তা গ্রহণ করাও সম্ভব হয় না। মাস্টার ডিগ্রি নিয়ে গ্রামে বেকার ঘুরে বেড়ানোর মানে কী?
এর পরই বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘আমাদের দেশে ডিগ্রি নেওয়াটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। আমাদের সময় মাস্টারমশাইদের ৫টা মাস্টারডিগ্রি থাকত। প্রত্যেক বছর পরীক্ষা দিতেন আর ডিগ্রি পেতেন। কিন্তু ৫টা ডিগ্রি দিয়ে হবেটা কী? যার পড়ার ইচ্ছা আছে সে কাজ করতে করতে পড়ে নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের অনেক মহাপুরুষ স্কুলের গণ্ডি পেরোননি। অনেকে তো স্কুলের মুখই দেখেননি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়নি।’
দিলীপ ঘোষের দাবি, নতুন ঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতিতে দেশ স্বনির্ভর হবে। আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে।