আমাকে জামিন দিন। আমি কিছু করিনি। আমাকে শুধু শুধু আটকে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানিতে এমনই দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন আদালতে পার্থবাবুকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। পালটা সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, পার্থবাবু যে সরাসরি দুর্নীতিতে জড়িত তা প্রমাণ হওয়া সময়ের অপেক্ষা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৭৩ বছর বয়স। তাঁর অনেক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সমস্ত অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। তাহলে উনি কী দোষ করলেন?
পালটা বিচারক বলেন, কে প্রভাবশালী আর কে নন, তা আপনারা কী ভাবে ঠিক করেন? এটা ঠিক করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?
এর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৫২ জন যোগ্য চাকরি প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। অথচ বিভিন্ন এজেন্ট মারফৎ টাকা তুলে ৭৫২ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৩১০ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করা হয়েছিল। এই তালিকা পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে। সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একথা জানতে পেরেছে সিবিআই।
এদিনও জামিনের সম্ভাবনা শেষ দেখে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়েই আদালতে চিৎকার করে পার্থ বলতে থাকেন, ‘আমাকে জামিন দিন। আমি কিছুই করিনি। যা করেছে পর্ষদ করেছে। আমাকে বাঁচান। আমাকে জামিন দিন। বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। আর কতদিন আটক থাকব? ’