আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন দক্ষিণ – পূর্ব রেলেন মহানির্দেশক অর্চনা জোশি। জমিদাতাদের চাকরি না দেওয়ার অভিযোগে দায়ের মামলায় শুক্রবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে হাজিরা দেন তিনি। এদিন চাকরি দিতে দেরি হওয়ায় রেলকে চরম ভর্ৎসনা করে আদালত। সঙ্গে ৩ মে-র মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করতে সময়সীমা বেঁধে দেন বিচারপতি।
পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা ৩টি পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একটি প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছিলেন তাঁরা। শর্ত ছিল যাবতীয় ক্ষতিপূরণের সঙ্গে পরিবারের এক সদস্যকে দিতে হবে চাকরি। সময়সীমা পেরোলেও কেউ চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালত আবেদনকারীদের শর্ত মেনে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরও জমিদাতাদের পরিবারের কেউ নয়োগপত্র পাননি। এর পরই আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হয় দক্ষিণ – পূর্ব রেলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে হাজিরা দেন দক্ষিণ – পূর্ব রেলের মহানির্দেশক অর্চনা জোশি। বিচারপতি সৌমেন সেন তাঁর কাছে জানতে চান, কেন এত সময় লাগছে। জবাবে অর্চনাদেবী বলেন, ‘মোট ৫৬০ জনের চাকরির আবেদন জমা পড়েছে। সমস্ত নিয়োগ একসঙ্গে দেওয়া হবে। তাই সময় লাগছে।’ কিন্তু অর্চনাদেবীর ব্যাখ্যায় খুশি হয়নি আদালত। বিচারপতি বলেন, পুলিশে, আদালতে এত নিয়োগ হয়। এত অপেক্ষা করতে হয় না তো? তাহলে আপনারা বিশেষ এমন কী করছেন’? এর পরই ৩ মে-র মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন বিচারপতি।