লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপোর অলঙ্কার উদ্ধার করা হল হাওড়া স্টেশন থেকে।ঘটনায় ১ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া স্টেশনের ১১ নম্বর গেটের কাছে। এদিন সেখানে এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তি নিজের সঙ্গে দু’টি ব্যাগ নিয়ে ঘুরছেন। একটি পিঠের ব্যাগ ও আরেকটি তার হাতে নীল রঙের ব্যাগ ছিল। তাই দেখে ওই ব্যক্তির উপরে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপর তার কাছে গিয়ে প্রথমে ওই ব্যক্তিকে প্রথমে আটক করা হয়।ব্যাগের মধ্যে কি আছে তা জিজ্ঞেস করা হলে, কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ওই ব্যক্তি। তারপর তাকে ওই দু’টি ব্যাগ তল্লাশি করার জন্য খুলতে বলা হয়।
তা শুনেই ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তার পিছু ধাওয়া করে হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা। তারপর ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যাগগুলো বাজেয়াপ্ত করে প্রথমে ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিনে পরীক্ষা করতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয় তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখতে পান, ওই ব্যাগের মধ্যে ধাতব কোনও বস্তু রয়েছে। এই ঘটনার পরই কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা জিএসটি আধিকারিকদের খবর দেন। এরপর জিএসটি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে, তাঁদের সামনেই ওই ব্যাগ দু’টি খোলা হয়। ব্যাগ খুলতেই তার মধ্যে থেকে প্রায় দু’কেজি সোনা ও তিন কেজির বেশি রুপোর অলঙ্কার বেরিয়ে আসে। যার বর্তমান বাজার দর ৯২ লক্ষ টাকা। এরপরেই অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে উপযুক্ত নথিপত্র চাওয়া হলে, তা দিতে পারেননি তিনি। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম রজত গুপ্ত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হাওড়ার লিলুয়া এলাকার বাসিন্দা। কোনও বৈধ নথিপত্র ছাড়াই তিনি ওই বিপুল পরিমাণে সোনা ও রুপোর অলঙ্কার নিয়ে যাত্রা করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বড় বাজারের কোনও এক সোনার ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে তিনি ওই অলঙ্কাকারগুলো পেয়েছেন। তবে তার দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই বিপুল পরিমাণে অলঙ্কার নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ফলকনামা এক্সপ্রেসে করে ওড়িশার ভদ্রকে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তিনি ওই বহুমূল্য অলঙ্কার কোথায় পেয়েছিলেন, এবং কাকে দেওয়ার জন্য তিনি সেগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।