গল্ফ গ্রিন থানায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে মৃতের পরিবার। তাদের অভিযোগ, যে পুলিশের বিরুদ্ধে দীপঙ্কর সাহাকে খুনের অভিযোগ, তারাই সেই খুনের তদন্ত করবে কী করে?
নিহত দীপঙ্কর সাহার দাদা রাজীব সাহার অভিযোগ, ভাইকে থানা থেকে বের করার সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ প্রকাশ্যে এনেছে। কিন্তু থানায় ঢোকানোর ছবি পুলিশ দেখাচ্ছে না। ভাইকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল কন্সটেবল তৈমুর আলি ও সিভিক ভলান্টিয়ার আফতাব মণ্ডল। অথচ পুলিশ বলছে সে থানায় পৌঁছেছে পরদিন দুপুরে। তাহলে মাঝে এতটা সময় সে ছিল কোথায়?
বছরে জীবনবিমার প্রিমিয়াম ১৫ লক্ষ টাকা! কে দিত এত টাকা অর্পিতাকে, জানতে তদন্তে ED
সঙ্গে তাদের প্রশ্ন, থানা থেকে বেরনোর সময় দীপঙ্করের সঙ্গে অভিযুক্ত ২ পুলিশকর্মীকেও দেখা যাচ্ছে। তবে কি থানা থেকে বার করে অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে ভাইকে?
নিহত যুবকের আরেক দাদা সানি সাহার অভিযোগ, পুলিশ জানিয়েছিল ময়নাতদন্ত হবে আমাদের সামনে। আমরা ময়নাতন্দন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে পারব। কিন্তু ময়নাতদন্তের সময় আমাদের সেখানে যেতেই দেওয়া হয়নি। ওদিকে পুলিশ দাবি করছে ভাইয়ের দেহে যে সব আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সেগুলো পুরনো।
পরিবারের দাবি, এই ঘটনার তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে পুলিশ। যে পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তারা কী করে তার তদন্ত করতে পারে? তাই এই ঘটনাস সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা।
এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩ জন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করেছে প্রশাসন।