গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি যুক্ত নন। তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ারও কোনও চেষ্টা করেননি তিনি। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বললেন তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু। সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন ওয়েবকুপা তাঁর কাছে তেমন কোনও গুরুত্ব পায়নি। এমনকী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথাও অস্বীকার করেছেন প্রবীণ এই অধ্যাপক।
২০২১ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষক নিয়োগের বিনিময়ে ৬৮ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হলে মালদায় এক প্রশাসনিক সভায় এর তদন্তের নির্দেশ দেন মমতা। অভিযোগ, তদন্ত ধামাচাপা দিতে শিক্ষাবিদ শক্তি পাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল থেকে সরিয়ে বসানো হয় কৃষ্ণকলি বসুকে। তার পর তদন্ত আর এগোয়নি।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণকলি বসু বলেন, আমি তদন্ত বন্ধ করেছি তার কোনও প্রমাণ আছে? আমি যতদূর জানি শক্তি পাত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই তাঁর জায়গায় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে আমাকে নিয়োগ করা হয়। আমি ৩০ বছর অধ্যাপনা করছি। সেই হিসাবে শিক্ষাক্ষেত্র নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও কিছু কম নয়।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার পারিবারিক পরিচয়ের জন্য তিনি আমাকে গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু ওয়েবকুপাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতেন না। বরং ওনার কাছে অধ্যক্ষ ও উপাচার্যরা গুরুত্ব পেতেন।