ইদানীং বেসরকারি বাসের মতো এবার সরকারি এসি বাসও বেশি পরিমাণে যাত্রী তোলার উপর জোর দিচ্ছে। যাত্রী তোলার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এখন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে সরকারি এসি বাসকে। আগে ঠিক উল্টো ছবি দেখা যেত। বাসের সিট ভর্তি না হলেও ছুটতো সরকারি এসি বাস। তবে এখন যাত্রী তোলার ওপর যত্নবান হয়েছে সরকারি বাস। এরজন্য বিভিন্ন ডিপোর পক্ষ থেকে চালক এবং কন্ডাক্টরদের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে সরকারি এসি বাসের ভাড়া থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ খরচ ছুটে আসত। কিন্তু বর্তমানে ডিজেলের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেইভাবে বাস ভাড়া না বাড়ায় সেই খরচ তুলতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারি পরিবহণ নিগমকে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে রাজ্যে ৪০টি রুটে নিয়মিত এসি বাস চলত তবে বর্তমানে তা কমে ৩০ থেকে ৩১টি রুটে চলছে। এসি বাস চালাতে গিয়ে বিপুল খরচ বহন করতে হয়। ১ লিটার তেলে আড়াই কিলোমিটার চলা এসি বাসের একটি ট্রিপেই প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই সেই খরচ তুলতে এখন বেশি পরিমাণে যাত্রী তোলার দিকে জোর দিচ্ছে সরকারি এসি বাস।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, তেলের খরচ যেহেতু বেড়েছে সেই কথা মাথায় রেখেই এখন যাত্রী তোলার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যদিও বেসরকারি বাসের মতো দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় অনেকে যাত্রীই অসন্তুষ্ট। তবে এতে পেশাদারিত্বের লক্ষণ দেখছেন আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি বাসের কন্ডাক্টরদের চুরি ঠেকাতেও তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।