বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ওমিক্রনে আক্রান্ত সন্দেহ হলেই রাখা হবে বেলেঘাটা আইডিতে, হবে বিশেষ ওয়ার্ড

করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে বেড়েছে আতঙ্ক। এটাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারপরেও আটকানো যায়নি করোনার এই নয়া অবতারকে। ভারতে চলে এসেছে ওমিক্রন। এবার এই ওমিক্রনের মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলায় ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।

এ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসন এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে ওমিক্রন সংক্রমণ কীভাবে রোখা যায় এবং যদি এই সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে, তাহলে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে করোনা যখন প্রথম ছড়িয়েছিল, তখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এবারও প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাইরে থেকে আসা কোনও ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ সন্দেহ হলে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রাখা হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের একটি আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হবে। বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি থাকা কোভিড রোগীর সংখ্যা অনেক কম। বেশিরভাগ সময়ই কোভিড ওয়ার্ড ফাঁকা থাকে। রাজ্যে আগত কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ হলে তাঁদের পৃথক একটি ওয়ার্ডে রাখা হবে। সেখানে তাঁদের রাখা হবে। এরপর তাঁদের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে। বিশেষ করে সিঙ্গাপুর এবং লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের এই টেস্ট করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কোনও যাত্রীর রিপোর্ট পজিটিভ আসলে তাঁকে বেলেঘাটা হাসপাতালে রাখা হবে। এরপরে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। যদি রিপোর্ট পজিটিভ আছে তাহলে বেলেঘাটা হাসপাতালে রেখে যাত্রীর চিকিৎসা করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

বন্ধ করুন