শিক্ষকদের নিজের জেলায় বদলির যাবতীয় আবেদন মঞ্জুর করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার বিধানসভায় এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর ফলে এবার থেকে নিজের জেলাতেই পড়ানোর সুযোগ পাবেন শিক্ষক – শিক্ষিকারা। সরকারের এই সিদ্ধান্তে বাসস্থান থেকে দূরে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে খুশির হাওয়া।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে বদলির প্রক্রিয়া। শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্তদের মতে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সরাসরি উপকৃত হবে কয়েক হাজার শিক্ষক। বিশেষ করে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়ির কাছেই পড়ানোর সুযোগ পাবেন। সংরক্ষণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিধি মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকদের বদলির সুযোগ পেতে কিছু দেরি হতে পারে। তবে সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সেজন্যও বেশিদিন দেরি করতে হবে না বলে আশাবাদী তাঁরা।
সরস্বতীপুজোর আগে এক টুইটে রাজ্যে শিক্ষাক বদলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নয়া নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন শিক্ষাকদের প্রতি তাঁর সরকারের অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। সমাজ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই শিক্ষকরা যাতে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে পরিবারকেও সময় দিতে পারেন তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
বিরোধীদের দাবি অবশ্য অন্যরকম। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষকদের মান ভাঙানোর চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেছিল তারা। বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয়েছিল,
লাগাতার বঞ্চনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষকরা। তার ওপর সাধারণ বদলি বন্ধ করায় সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালটের ফলে তা টের পেয়েছে শাসকদল। একটি কেন্দ্র বাদ দিলে বাকি ৪১টি জায়গায় পোস্টাল ব্যালটে হার হয়েছে তৃণমূলের। এর পরই বেতন কমিশন লাগু করা থেকে শিক্ষক বদলিতে ছাড়পত্রের যাবতীয় উদ্যোগ শুরু করে তৃণমূল সরকার।