প্যাকেট দিয়ে মোড়ানো ফলের ঝুড়ি। কোনও ঝুড়িতে ইংরাজিতে লেখা, গেট ওয়েল সুন। কোথাও আবার লেখা রয়েছে, দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। নীচে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের কাছে যাচ্ছে মমতার পাঠানো বার্তা। দ্রুত আরোগ্য,লাভের জন্য শুভকামনা। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তের করোনা রোগীরা এই ধরনের ফলের ঝুড়ি পেয়েছেন। করোনা দাপটে গোটা বাংলা যখন ত্রস্ত তখনই রোগীর কাছে পাঠানো হচ্ছে ফল ভর্তি ঝুড়ি। সরকারের এই উদ্যোগে অনেকেই যথেষ্ট খুশি।
একঝলক দেখলে মনে হবে যেন বিয়েবাড়ির তত্ত্ব। আসলে এগুলো করোনা রোগীদের কাছে পাঠানোর জন্য ফলভর্তি ঝুড়ি। একেবারে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মুখ্য়মন্ত্রীর বার্তা সহ এই ফলভর্তি ঝুড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। উত্তর কলকাতার মেছুয়া ফলপট্টি থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার ফলের ডালি পাঠানো হচ্ছে রোগীর কাছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে তারিখ ইশার নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, ১২টা ফল দিয়ে একটা করে ঝুড়ি সাজানো হচ্ছে। নানা ধরণের ফল দিয়ে সাজানো থাকছে ঝুড়ি। নাগপুরের মুসাম্বি, কাশ্মীরের আপেল থাকছে ঝুড়িতে। এর সঙ্গেই থাকছে বেদানা, খেজুর সহ নানা ধরনের ফল। এই ফল প্যাক করে প্রথমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কর্পোরেশনে। সেখান থেকে ঝুড়িভর্তি ফল পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের কাছে।