শুক্রবার ভোরে কোচবিহারের সিতাইতে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফের গুলিত মৃত্যু হয়েছে তিন পাচারকারীর। মৃত তিনজনের মধ্যে দুজন বাংলাদেশের ও অপর একজন সিতাইয়ের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। এদিকে সরাসরি মাথায় গুলি করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া ও দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। এর সঙ্গেই উদয়ন গুহের দাবি, বিএসএফ মদত না দিলে পাচার হয় না। আর দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক উদয়ন গুহ। এনিয়ে একেবারে সরাসরি উদয়ন গুহকে নিশানা করে আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, বিএসএফকে ছোট করা মানে দেশকে ছোট করা। আমি মনে করি উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে তিনজন পাচারকারীর মৃত্যু প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী, গরু পাচারকারীর সঙ্গে যা করা উচিত তাই করেছে। আমরা বিএসএফের জন্য গর্ব অনুভব করি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু। তিনি জানিয়েছেন, জামায়েতের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে গোটা দেশকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া উচিত, এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে এর সঙ্গেই সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের কাজের পরিধির সম্প্রসারণ নিয়েও নানা চর্চা চলছে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়েছেন, বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে পারে। সুপ্রিম কোর্টেও যেতে পারে। তবে বিধানসভাতেই এর জবাব দেবেন বিজেপি বিধায়করা।