পঞ্চায়েতের কাজে প্রায়ই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত প্রকল্পের কাজ দেখেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বহু বিজেপি নেতা পঞ্চায়েতের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বহুবার রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন। এবার পঞ্চায়েতের কাজে দুর্নীতি বন্ধ করতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। এই কাজে নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। সে ক্ষেত্রে ডিভিশনাল কমিশনার, জেলা শাসক, মহকুমা শাসক এবং বিডিওদের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে’, BJP-র নবান্ন অভিযান নিয়ে দুটি পেনড্রাইভ জমা পড়ল HC-এ
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এ নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরি হয়েছে। যাতে এই সমস্ত আধিকারিকরা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে পারবেন। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাতে পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কীভাবে তাদের কাজ করতে হবে এবং কোথায় রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নিয়মিত নজরদারির বলে দুর্নীতি রোখা সম্ভব বলে মনে করছে নবান্ন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে এসে বেআইনি খরচের ক্ষেত্রে রাজ্যকে এফআইআর করার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল। পাশাপাশি রাজ্যকে নজরদারি চালানোর পরামর্শ দিয়েছিল। তারপরে পঞ্চায়েতের কাজে নজরদারি নিয়ে তৎপর হয়েছে নবান্ন। বিভিন্ন প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে টাকা বরাদ্দ এবং খরচের সামঞ্জস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
পঞ্চায়েত সচিব চিঠিতে ডিভিশনাল কমিশনারদের মাসে একটি করে প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে বলেছেন। তারা জেলা পরিষদ পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প খতিয়ে দেখবেন। জেলাশাসকরা পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের চালু প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবেন এবং বিডিওরা মাসে তিনটি করে গ্রাম পঞ্চায়েতে পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন বলে জানানো হয়েছে।