অনেকের মতে, সব জমিই প্রায় একই রকম দেখতে। আর ক্ষতির পর তো আলাদা করে বোঝাই যায় না। অভিযোগ, গত আমফানের পর ক্ষতি না হয়েও ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে এই কৌশলটাই কাজে লাগিয়েছিলেন কয়েকজন। অতীতে একাধিক দুর্যোগের পর এই চাষের ক্ষতিপূরণ নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আমফান পরবর্তী ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত নন এমন ব্যক্তির নামেও চাষের ক্ষতিপূরণের টাকা অনুমোদন হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে আগাম সতর্ক হল কৃষি দফতর। সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপগ্রহ মারফৎ প্রাপ্ত ক্ষতিগ্রস্ত জমির ছবির সঙ্গে এলাকা থেকে পাঠানো জমির ভিডিও মিলিয়ে দেখা হবে, তারপরেই মিলবে ক্ষতিপূরণ। ব্লক বা জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকরা ভিডিও পাঠিয়ে দিলেন আর ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে এমনটা নয়। এমনকী এক্ষেত্রে কোথাও গরমিল হলেই ক্ষতিপূরণ পাওয়া তো দূরের কথা ওই ব্য়ক্তিকে একেবারে ব্ল্যাক লিস্টেডও করা হতে পারে।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, খোদ মুখ্য়মন্ত্রী এনিয়ে একেবারে কড়়া নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক কাজ হচ্ছে। এর পরেও ইয়াস পরবর্তী সময়ে স্থানীয় স্তরে কৃষি দফতর থেকে রাজ্যের কাছে পাঠানো একটি ভিডিওর সঙ্গে স্যাটেলাইট চিত্রের কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে খতিয়ে দেখছে কৃষি দফতর।
প্রয়োজনে এনিয়ে একেবারে কৃষি জমিতে গিয়ে তদন্ত করে দেখবে কৃষি দফতর। অন্য়দিকে দফতরের দাবি, কৃষকের কাছে ক্ষতিপূরণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সব রকম স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। বিভিন্ন দফায় ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে তোলা ভিডিও ফুটেজ আর স্যাটেলাইটের ছবি দুটোই এক হওয়া বাধ্যতামূলক।'