উপাচার্যদের কাছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট চেয়ে চিঠি গিয়েছিল আগেই। কিন্তু কোনও উত্তর না আসায় ফের চিঠি দেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই চিঠি দেওয়ার পর সপ্তাহ ঘুরে গেলেও কোনও উত্তর আসেনি। এ বার কেন উত্তর এল না তার কারণে দর্শাতে বলে উপচার্যদের চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবন থেকে।
মঙ্গলবার সেই শোকজের চিঠি পেয়েছেন বলে সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। রাজভবন থেকে পাঠানো চিঠিতে আগের চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোন উত্তর না পেয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়। তারপরেও রাজ্যপালকে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। কেন দেওয়া হল না তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে রাজভবন থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় উপাচার্যদের। তাঁদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক খরচ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসেনি। এই চিঠি পাঠানোর পর থেকে রাজভবনের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতের শুরু হয় রাজ্য সরকারের। চিঠি পাঠানো নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন,'উচ্চশিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে এই ভাবে যে বারবার উপচার্যদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে না বাঞ্ছনীয় নয়। এটা আইনেও নেই।'
প্রথম চিঠি দেওয়ার সময়েও শিক্ষামন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,' প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত। রাজ্যপালের উচিত এই চিঠি প্রত্যাহার করে নেওয়া।' স্বাভাবিক ভাব উপাচার্যদের নিরুত্তর থাকার কারণ দর্শাতে বলাকেও ভালো ভাবে নিচ্ছে না রাজ্য।
(পড়তে পারেন। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ নয়, তেহট্টের হকারদের মামলায় জানাল হাইকোর্ট)
ইতিমধ্যে রাজভবনে আটকে রয়েছে আচার্য বিল। যে বিলে রাজ্যপাল সই করে দিলেই মুখ্যমন্ত্রীই হবেন রাজ্য সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। কিন্তু এখন তা আটকে রাজভবনের ঠান্ডা ঘরে। এবার উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের ক্ষতকে আরও গভীর করবে।