কাজও শুরু করে দিলেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথের পর তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, উন্নয়নের স্বার্থে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেই তিনি কাজ করবেন। এবার সেই কথা রাখলেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া রাজ্যপাল। আজ, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিল ২০২২— সই করলেন তিনি। এই বিল দীর্ঘদিন আটকে ছিল। আর সেটা মুহূর্তে সই করে দেওয়ায় খুশি নবান্ন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছিল। কিন্তু তা রাজভবনে পাঠানো হলেও পড়েছিল বিলটি। লা গণেশন দায়িত্ব রাজ্যপালের অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়েই ছিল বিলটি। লা গণেশন বাংলার অস্থায়ী রাজ্যপাল ছিলেন। যদিও তিনি বেশ কিছু বিলে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এই বিলে তিনি সই করেননি। সেখানে স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে সিভি আনন্দ বোস এসেই এই বিলে সই করে দিলেন।
এই বিলে মানুষের কী সুবিধা হবে? জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত এসসি–এসটি শংসাপত্রের জন্য একবার আবেদন করা যেত। সেই আবেদন যদি খারিজ করে দিতেন উচ্চতর কর্তৃপক্ষ তাহলে আর আবেদন করার সুযোগ ছিল না। নয়া এই বিলে সই হয়ে যাওয়ায় আরও একবার আবেদন করা যাবে শংসাপত্রের জন্য। এটাই নতুন করে সংশোধন করা হয়েছে।
তবে বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক একটা ফ্যাক্টর। আর তাই এই বিলে সই হয়ে যাওয়ায় আদিবাসী মানুষদের অনেক সুবিধা হবে। এই তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলকে সামনে রেখে মানুষের কাছে পৌঁছবে শাসকদল। দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এই প্রেক্ষাপটে এমন বিল কার্যকর হওয়ায় ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।