সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তার মধ্যেই অবশ্য নিজের পদ আঁকড়ে থেকেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল হওয়ার দরুণ তদন্ত থেকে নিস্তার পেয়ে আছেন। এহেন সিভি আনন্দ বোস নতুন করে একটি বিতর্কে জড়ালেন। তাঁকে নিয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বিস্ফোরক এক বিষয় দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মঙ্গলবার। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যপাল একটি গেরুয়া উত্তরীয় পরে। যাতে বিজেপির প্রতীক পদ্ম রয়েছে। (আরও পড়ুন: এখনও শেষ হয়নি ভোট, এর মাঝেই আরও একদফা ডিএ বাড়ল! নির্দেশ জারি অর্থ দফতরের)
আরও পড়ুন: 'এটা চাকরিজীবীদের অধিকার', মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল আদালত
আরও পড়ুন: দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
এই নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টের একজন বিচারপতি স্বীকার করলেন যে তিনি আরএসএস-এর সদস্য। এবং এখন অবসরের পরে কিনি সংঘ পরিবারে ফিরতে চান। আর এবার বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। গত জানুয়ারিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে তিনি একটি উত্তরীয় পরে আছেন, যাতে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক পদ্মের মতো একটি ফুল আঁকা রয়েছে। সাংবিধানিক রীতি নীতি কোথায় গেল?' (আরও পড়ুন: 'জানি না' বলেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকে 'পারিবারিক বিষয়' আখ্যা মমতার!)
আরও পড়ুন: 'আসন সংখ্যা নেমে...', রামকৃষ্ণ মিশন ইস্যুতে মমতার 'পতন' দেখছেন দিলীপ
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি সিলে 'ডিকে' ছাপ, পুলিশের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন
এর আগে সম্প্রতি রাজভবনের কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আরও একটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে আসে। দাবি করা হয়, অনুষ্ঠানের নাম করে দিল্লি নিয়ে গিয়ে রাজ্যপাল এক নাম করা নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত ২০২৩ সালের জুন মাসে একটি অনুষ্ঠানের নাম করে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন বোস। সেখানে এক পাঁচতারা হোটেলে নৃত্যশিল্পীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই নাকি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল অভব্য আচরণ করেছিলেন। তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। এরপরই সেই নৃত্যশিল্পী নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে নবান্নের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশকে এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে রাজভবনের ঘটনাতেও পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। রাজভবনের কর্মীদের তলব করেছে পুলিশ। এই সবের মাঝে রাজভবনের কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সংবিধানের ৩৬১ নং ধারার উল্লেখ করে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা যাবে না।