বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌আমি শেক্সপিয়রের হ্যামলেট হয়ে থাকব না’, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল‌

‘‌আমি শেক্সপিয়রের হ্যামলেট হয়ে থাকব না’, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল‌

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। (HT_PRINT)

রাজভবনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। তারপরই ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে ‘মত্ত হস্তী’র সঙ্গে তুলনা করেন। 

আবার আক্রমণাত্মক মেজাজে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিলে তিনি যে চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না সেটা আজ সোমবার স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন বড়লাট। তবে এটা যে তিনি রাজ্য সরকারকে সরাসরি বার্তা দিলেন তা বুঝতে কারও অসুবিধা হচ্ছে না। চুপ করে থাকবেন না বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই বিষয়ে তিনি উপমা টানেন উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’ নাটক থেকেও। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঝড় উঠতে চলেছে রাজ্য–রাজনীতিতে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল?‌ আগামীকাল ২৫ বৈশাখ। রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হবে গোটা বাংলায়। আজ, সোমবার জ‌োড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‌রাজ্যে আইনগত বা সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে আমি শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের মতো চুপ করে বসে থাকব না।’‌ অর্থাৎ তিনি সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন। এটা কার্যত রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি। আর এই হুঁশিয়ারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এখন নবান্ন–রাজভবন সম্পর্কে চিড় ধরেছে।

এদিকে বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে আসার পর নবান্ন–রাজভবনের মধ্যে ‘সমন্বয়ে’র ইঙ্গিতই মিলেছিল। তাই বাংলা শিখতে সরস্বতী পুজোয় রাজভবনে ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে পাশে নিয়ে বলেছিলেন, নবান্ন–রাজভবন–বিকাশ ভবন একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। কিন্তু সেখানে সংঘাতের বাতাবরণ দেখা গিয়েছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত বেঁধেছে।

অন্যদিকে রাজভবনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। তারপরই ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে ‘মত্ত হস্তী’র সঙ্গে তুলনা করেন। বাংলার সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি মাসের পর মাস রাজভবনে আটকে আছে। তা নিয়েও দু’‌পক্ষের মতান্তর হয়। এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যপাল বলেন, ‘‌আইনগত বা সাংবিধানিক, কোনও সংকট তৈরি হলে আমি শেক্সপিয়রের হ্যামলেট হয়ে থাকব না। টু বি অর নট টু বি, পথের সন্ধান দেবে শিক্ষা।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন