কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সরাসরি রিপোর্ট রাজভবনে পাঠাতে নির্দেশ দিয়ে রাজ্য সরকারের আক্রমণে পড়েছিলেন। সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল বলেই তাঁর অভিযোগ। তারপর রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু রাজ্যপাল বোসের এই পরিদর্শন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সূত্রের খবর, এমন সংঘাতের আবহের মধ্যেই শিক্ষাবিদদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কী নিয়ে বৈঠক? তা খোলসা করেননি কেউ।
কারা বৈঠকে যোগ দেন? শিক্ষাবিদদের নিয়ে সোমবার এই বৈঠক হয় রাজভবনে। আর রাজভবনে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুকান্ত চৌধুরী, শুভশঙ্কর সরকার–সহ আরও কয়েকজন শিক্ষাবিদ। জাতীয় শিক্ষানীতি এবং শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কেন এমন বৈঠকের প্রয়োজন হল? সেটা নিয়ে রাজভবন থেকে কিছু জানানো হয়নি। এখন শিক্ষা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সংঘাত চলছে। সেখানে এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বৈঠক বিশেষ করে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। কারণ রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির পক্ষে নন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই অনেকগুলি যুক্তি দেখিয়েছে। সেগুলি শিক্ষাবিদদের সামনে তুলে ধরে মতামত নেওয়া হয়। এই ইস্যুতে এখন কেন্দ্র–রাজ্যের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। তার মধ্যেই এই শিক্ষাবিদদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখানে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এক, জাতীয় শিক্ষানীতি। দুই, ডিস্টেন্স লার্নিং এবং তিন, রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি নিয়ে বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? শিক্ষাবিদদের একটা অংশ জাতীয় শিক্ষানীতির কিছুটা অংশের বিরোধিতার করেছেন আচার্যের কাছে। আবার বিকাশ ভবন–রাজভবন সংঘাতে জড়িয়েছে। যেখানে ব্রাত্য বসুকে কয়েকদিন আগে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাজভবন– নবান্ন এবং বিকাশ ভবন সমন্বয় রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করবে। সেখানে আচার্য বিল, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজভবনের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বলেছেন, ‘রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক আচার্য মুখ্যমন্ত্রী।’