চোপড়ার ঘটনাই এখন ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি। তাই সুকান্ত মজুমদার থেকে জেপি নড্ডা সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাংলায় জঙ্গলরাজ চলতে পারে না বলে নয়াদিল্লি থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই চোপড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। আর আগামিকাল, মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ফিরেই চোপড়া ও কোচবিহারে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেবেন তিনি।
এদিকে আজ রাজ্যে পর পর গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি জানান, এর থেকে ‘জঙ্গল’ও ভাল। রাজভবন সূত্রে খবর, নয়াদিল্লি থেকে সোজা তিনি পৌঁছে যাবেন উত্তরবঙ্গে। নয়াদিল্লি থেকে বাগডোগরা হয়ে কোচবিহার এবং চোপড়া দুই জায়গাতেই যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চোপড়ার ঘটনা এবং কলকাতার বউবাজারে গণপিটুনি, মেডিক্যাল কলেজে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। এই মর্মে একটি ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন তিনি। যদিও রাজ্যপাল বনাম রাজ্যের সংঘাত অব্যাহত।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীকে গাড়ি করে পুরসভায় আনলেন ফিরহাদ, মানবিক মেয়র দেখল বাংলা
অন্যদিকে বাংলার দুই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে। এই আবহে এবার গর্জে উঠলেন রাজ্যপাল চোপড়ার ঘটনা নিয়ে। রাজভবন সূত্রে খবর, কোচবিহার এবং চোপড়ার আক্রান্তরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তাই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নয়াদিল্লি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত ওই যুগলের সঙ্গে কথা বলতেই চোপড়া যাচ্ছেন রাজভবনের বাসিন্দা। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরেই বাগডোগরা থেকে বিমান ধরে নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যপালের।
সেখানে গিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়ে রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন রাজ্যপাল। এদিন ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল বলেন, ‘এটা কি কোনও সভ্য রাজ্য? যেখানে এভাবে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। পুলিশ নিজেই এমন কাজে জড়িত। এর থেকে তো জঙ্গলও ভাল। বাংলায় এসব কী চলছে? কোনওভাবেই এই জঙ্গলরাজ বরদাস্ত করা হবে না। কবিগুরুর মাটিতে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যে শাসন বলে কিছু আছে? পুলিশের সামনেই এমন ঘটনা ঘটছে। অপরাধের কর্মকাণ্ডে পুলিশ জড়িয়ে পড়ছে। কোথায় আছেন পুলিশমন্ত্রী? কে চোর আর কে পুলিশ সেটাই মাঝেমধ্যে বোঝা যাচ্ছে না। বাংলার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এখন খুন, ধর্ষণ, মারধরের ঘটনা ঘটে। বাংলার রাস্তায় রক্ত ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। আর গ্রামগুলিতে মৃত্যুমিছিল হচ্ছে রোজ।’