আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে এখন তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দেশের এক নম্বর তদন্তকারী সংস্থা। সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এখন সে সিবিআইয়ের হাতে। জেল হেফাজতে আছে অভিযুক্ত সঞ্জয়। এবার এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ–সহ অন্যান্যরা। তাঁদের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এই বৈঠকের পরই তড়িঘড়ি রাজভবন থেকে বেরিয়ে নয়াদিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল।
আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালের মর্গে এসেছিল সিবিআই। এখানে অনিয়ম রয়েছে বলে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো তা এখনও জানানো হচ্ছে না। আজও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। সেখানে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যে যা ঘটেছে সেটা বিস্তারিত জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথাও বলেছেন। সুতরাং তারপরই নয়াদিল্লিতে ঝটিকা সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্রের খবর, আরজি কর হাসপাতালের ইস্যুতেই অমিত শাহ তলব করেছেন রাজ্যপালকে।
আরও পড়ুন: ১২টি শিল্পনগরীতে সায় মন্ত্রিসভার, আবার বঞ্চিত বাংলা, কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ কুণালের
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে সরব হন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। দোষীর ফাঁসির সাজা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন অভিযানের নামে তাণ্ডব দেখেছে বাংলার মানুষ। তাতে রক্তাক্ত হয়েছে পুলিশ। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ছাড়াতে যায় বিজেপি। সেটা না পেরে বাংলা বনধ ডাকে। সেটা সফল না হওয়ায় এখন ধরনায় বসেছেন বিজেপি নেতারা। তাতেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না দেখে রাজ্যপালের কাছে যান। আর রাজ্যপাল যান নয়াদিল্লিতে।
নবান্ন অভিযানের নামে তাণ্ডবে সায় দেয়নি মহানগরী। তবে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সংবাদসংস্থাকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র গা–ঢাকা দিয়ে আছে। কোনও সভ্য সমাজে মেয়ে–বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না।’ আর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে বিস্তারিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী যা মন্তব্য করছেন তাতে বাংলাদেশের জামাতের মিল পাওয়া যাচ্ছে। অসম, ওড়িশার মতো রাজ্যের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, সাংবিধানিকভাবে আপনার যা করার করুন।’