রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে নয়া মোড়। এবার আচার্য ধনখড়ের ক্ষমতা খর্ব করল রাজ্য। রাজ্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্যের ভূমিকা পালন করেন রাজ্যপাল। এবার তাঁর ক্ষমতার বলয় অনেকটাই সংকুচিত হয়ে গেল রাজ্য সরকারের নয়া নোটিফিকেশনের পর। গত সপ্তাহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। উপাচার্য সহ অনুপস্থিত ছিলেন সমস্ত পদাধিকারীরা।
মঙ্গলবার বিধানসভায় নয়া নির্দেশিকার কথা জানান হয়েছে। আচার্যের সেক্রেটেরিয়েটের আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। উপাচার্যের নিয়োগে এবার রাজ্যের পাঠানো নামেই সিলমোহর দিতে হবে রাজ্যপালকে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ বডির বৈঠক ডাকারও অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।
এর আগে রাজ্যপালকে তিনটি নাম পাঠানো হত। এবার থেকে একটিই নাম রাজ্যপালের কাছে যাবে। মজার কথা হল সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের নামেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিবর্তনগুলি জানিয়েছে রাজ্য।
সিপিএমের তরফ থেকে সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন এই বদলগুলির ফলে রাজ্য সরকারের অফিস হয়ে উঠবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববদ্যালয়গুলির সঙ্গে সরাসরি কোনও কথা বলার সুযোগ থাকবে না রাজ্যপালের। উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যেমে তিনি কোনও বার্তা পাঠাতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে কোনও অভিযোগ এলেও সেটা রাজ্যপালকে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে। তারা প্রয়োজন মনে করলে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেবেন বলে রাজ্য সরকার নিয়ম এনেছে।