বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই নিজের ‘ভয়ের’ কথা জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি মেদিনীপুরের ‘মাস লিডার’ শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ, বৃহস্পতিবার সেই জননেতার চিঠির প্রেক্ষিতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। সুতরাং শুভেন্দু ইস্যুতে রাজভবন–নবান্ন সংঘাত নতুন করে শুরু হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যপাল চিঠি লেখার পরই শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন। শুভেন্দু বুধবার রাজ্যপালকে চিঠি লিখে জানান, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে পারে রাজ্য পুলিশ।’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহ্স্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীকে ‘সতর্ক’ করে দিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। পরে সেই চিঠির প্রতিলিপি টুইটও করেছেন তিনি। এদিনের চিঠিতে কোনওভাবে যাতে শুভেন্দুকে ফাঁসানো না হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন রাজ্যপাল। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারকে বিঁধে লিখেছেন, ‘প্রশাসনিক শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন। আপনার সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানো সহকর্মী ভয় পাচ্ছে প্রতিহিংসা থেকে। তাই আপনি আইন ও সংবিধানের মান রাখবেন আশা করি। রাজনৈতিক বিরোধীদের মিথ্যে মামলায় জড়ানো গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং অসাংবিধানিক ও অপরাধ। এখানে কোনও বিরোধের জায়গা নেই।’
রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করতে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। তেমন হলে রাজ্যপাল যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। তারপর আজ দু’পাতার চিঠি রাজ্যপাল লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকে।