রাজভবনে মঙ্গলবার উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বসু। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য়পাল ও শিক্ষামন্ত্রী।
সেখানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেটা স্যার বললেন যেকোনও পর্বই হোক না কেন, গভর্নর সবার। তিনি নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের নন। যদি কোনও পর্ব থেকে থাকে সেটা অতীত।এটা নতুন সময়। যার জন্য় এটা সম্ভব হল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই নতুন সম্ভাবনা তৈরি হল। যেখানে সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে আমরা নতুন দিনের দিকে এগোব। আপনাদের মনে আছে মাস দেড়েক আগে ও মহামান্য রাজ্যপাল ও ভিসিদের নিয়ে বার্তা দিয়েছিলাম যে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের যা হয়েছে সেটা অতীত। নবান্ন আর রাজ্যপাল একত্রে মিলে কাজ করবে। যতই জল্পনা থাক, উসকে দেওয়া থাক আমরা আমাদের সেই বক্তব্য ফের বলছি। আপানারা জানেন বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত জটিলতা মহামান্য় আদালতে পেন্ডিং আছে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে। ২৪জন উপাচার্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কোনও সই নেই। এটা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুসারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এটা নিয়ে যেন রাজ্যপালের সঙ্গে আমরা কথা বলি। মিটিং করে আমরা পথ বের করেছি।
এদিকে সেই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজভবন, বিকাশভবন, নবান্ন কি একযোগে কাজ করবে? যা হয়েছে তা কি অতীত? এর উত্তরে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আমরা সংবিধান মেনে আমাদের ভূমিকা পালন করব। এদিকে আগে কেন ওই ফাইলগুলি সই করা হয়নি সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি রাজ্যপাল। এনিয়ে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আগে কেন সই করা হয়নি তা নিয়ে বর্তমান রাজ্য়পাল জানেন না।
এদিকে এদিন উপাচার্যরা প্রত্য়েকে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র দেন ও রাজ্যপাল তাঁদের তিনমাসের এক্সটেনশন দেন। তাঁরা সকলেই এখন বৈধ উপাচার্য।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যপাল ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত তৈরি হচ্ছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়ার পর থেকেই রাজ্যের তরফে একাধিক নেতা মুখ খুলতে শুরু করেন। মদন মিত্র কার্যত শালীনতার সীমাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে এবার সেই যাবতীয় সংঘাতে জল ঢাললেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সবার। এক সূত্রে কাজ করবে রাজ্যপাল, নবান্ন ও বিকাশ ভবন।