রাজ্যে শিল্পকে পাখির চোখ করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আগামী বছরে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন তিনি। নয়াদিল্লি সফরে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চমক। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলেছেন। তাতে আরও পারদ চড়েছে। এই ঘটনার পর চাপে পড়ে গিয়েছে বঙ্গ–বিজেপি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকী আজ শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য–রাজনীতি তথা জাতীয় রাজনীতিতে এখন এই ইস্যু আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কারণ আজ, বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকী ওই চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ট্যাগ করে দেন তিনি। তারপর টুইট করেন রাজ্যপাল। সেখানে গত পাঁচবছর ধরে বাণিজ্য সম্মেলনের তথ্য চেয়েও পাননি বলেই টুইটে দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী যদি এই সম্মেলনে আসেন তাহলে বিজেপি নেতাদের এবং রাজ্যপালের মুখ পুড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটাই প্রতিরোধ করতে এই প্রয়াস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এই বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। সব হাতের বাইরে চলে গেল বলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে তাঁরা। আজ নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে দিলীপ ঘোষ সংশয় প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। আর ২০১৬ সাল থেকে কত বিনিয়োগ হয়েছে, কত কর্মসংস্থান হয়েছে, তা আরও একবার জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের মতে, ‘বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে যে দাবি করা হয় তার সঙ্গে বাস্তব তথ্যের কোনও মিল নেই।’
উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়ে থাকে। ব্যতিক্রম ২০২১ সাল। কারণ করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলেছিল বিশ্বে। আগামী বছর ২০ ও ২১ এপ্রিল নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে হবে এই সম্মেলন। আর তার উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়েই এখন দড়ি টানাটানি চলছে। তবে দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়।