প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকে দেওয়ায় বেজায় চটেছেন তিনি। সকাল থেকে উঠেই টুইট করে চলেছেন রাজ্যপাল। প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যে তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। এবার বেলা গড়াতেই নেতাই গ্রামে ঢোকার সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কেন বাধা দিল পুলিশ তা জানতে মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে সোমবার রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে নালিশ করেছেন রাজ্যপালের কাছে। তারপরই সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল। এমনকী টুইটও করেছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, ‘এই অস্থির পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে রাজ্যে জরুরি অবস্থা চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিরোধী দলনেতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হল। এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ১০ জানুয়ারি লিখিত রিপোর্ট–সহ সকাল ১১টায় রাজভবনে আসতে বলেছি।’
রাজ্যপালের এই টুইটের পর ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এই জরুরি তলবে বোঝা যাচ্ছে ফের সংঘাত লাগতে চলেছে রাজভবন–নবান্নের মধ্যে। কারণ রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিব রাজ্য সরকারের নির্দেশে কাজ করেন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব তাঁদের। আর একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী নালিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তা রাজ্যপাল মেনে নিতে না পেরেই সক্রিয়তা দেখালেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নেতাই যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নেতাই যাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। আদালত সেই অনুমতি দেয়। কিন্তু ঝিটকার জঙ্গলের আগে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। তখন বলেছিলেন, আদালতের রায় সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও ঢুকতে দেওয়া হল না। এটা রাজ্যপালকে নালিশ করবেন তিনি। তারপর আজ রাজ্যপাল টুইট করে তলব করলেন মুখ্যসচিব–ডিজিকে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘রাজ্যপাল নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার মতো আচরণ করছেন। ওই জায়গায় আগেই একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল। বিরোধী দলনেতা সেখানে গিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিলেন।’