তিনি প্রায়ই মন্তব্য করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। চিঠি লেখেন, রিপোর্ট পাঠান এবং টুইট করেন। এই পরিস্থিতিতে নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দাহ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর তা নিয়ে তিনি মঙ্গলবার টুইট করেন। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর আজ, বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে রাজভবনে তলব করলেন।
রাজ্যপালের এই তলবে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়া গণধর্ষণ–খুন–দাহ নিয়ে যথাযথ তদন্তের আশ্বাসও দিয়েছেন। তারপরেই রাজ্যপাল টুইট করেছিলেন, ‘হাঁসখালিতে লজ্জাজনক ধর্ষণ ও নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে ফৌজদারি তদন্তে দাগ লেগেছে। যারা দায়িত্বে আছেন ও সাংবিধানিক পদ অলঙ্কৃত করছেন, তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। এই বেআইনি মনোভাব স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তকে বিপথগামী করে। কারণ, পুলিশও ওই পথ অনুসরণ করে।’
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিব ও ডিজি–কে তলব করেছে রাজ্যপাল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ হাঁসখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর রাজ্যপালের এই তলব বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘চরম নৈরাজ্য চলছে। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার। মানুষ আর টুইট দেখতে চাইছে না। মতামত দেখতে চাইছে না। কিছু করুন। মানুষ রাজ্যপালের দিকে তাকিয়ে। মানুষ চাইছেন, তিনি কিছু করুন।’
শমীকবাবুর এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা মানসিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ওঁদের দলের অফিস রাজভবন। রাজ্যপালের কাছে যাতায়াত, পরামর্শ–সহ নানা বিষয় আছে। দলের অভ্যন্তরীণ কর্মীর মান–অভিমানের বিষয় চলছে।’ তবে এখন দেখার রাজ্যপাল প্রশাসনিক প্রধানদের কি নির্দেশ দেন।