প্রত্যাশিতই ছিল। আর সকালেই সেই প্রত্যাশা পূরণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। তোপ দেগে বলেছিলেন, ‘আঙ্কেলজি আপনি গেলেই রাজ্যের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির উন্নতি হবে’। কারণ তিনি নাকি তাঁর পরিবারের সদস্য এবং নিকট আত্মীয়দের ওএসডি–সহ নানা পদে রাজভবনে বসিয়েছেন। সেখানে সংসার পেতে ফেলেছেন। এবার প্রত্যাশা মতোই এই অভিযোগের জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
সোমবার সকাল থেকেই নজর ছিল রাজ্যপালের টুইটার হ্যান্ডেলেই। সকাল ৯.৩৭ মিনিটে মহুয়া মৈত্রকে জবাব দেন রাজ্যপাল। ঠিক কী লিখলেন তিনি? টুইটে তিনি লিখলেন, ‘সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিচ্ছেন মহুয়া মৈত্র। অফিসার অন স্পেশাল ডিউটির পদে নিয়োগ নিয়ে মহুয়া মৈত্র যে তথ্য দিচ্ছেন, তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। যে ৬ জনের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, তা মিথ্যা। তাঁদের কেউই একই পরিবারের সদস্য কিংবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নন। এমনকী আমার জাতের কেউ নন।’ রাজ্যপালের এই দাবি মিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ কে সঠিক বলছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। তার আগে মহুয়ার টুইট বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। তাঁর দাবি, এই ওএসডি–রা তিনজনই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। ৬ জন ওএসডি একই পরিবারের নন। তাঁদের চারজন তাঁর নিজের জেলার কিংবা জনজাতিরও নন। আর মহুয়ার টুইট ছিল, ‘রাজভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়স্বজন এবং পরিবারের সদস্যদেরই নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।’
উল্লেখ্য, মহুয়ার পোস্ট করা এই তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যপালের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) পদে রয়েছেন অভ্যুদয় সিং শেখাওয়াত। যিনি রাজ্যপালের জামাইবাবুর ছেলে। আবার ওএসডি কো–অর্ডিনেশন পদে রয়েছেন অখিল চৌধুরী। যিনি রাজ্যপালের পরিবার ঘনিষ্ঠ। আবার ওএসডি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পদের দায়িত্বে থাকা রুচি দুবে রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি মেজর গৌরাঙ্গ দীক্ষিতের স্ত্রী। এমনকী ওএসডি প্রোটোকলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত দীক্ষিত মেজর গৌরাঙ্গের ভাই। এখন ধনখড় বনাম মহুয়ার টুইট যুদ্ধ অন্য মাত্রা তৈরি করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।