বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনালে নিয়োগের দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে রাজ্যপালকে, আসছে বিল

ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনালে নিয়োগের দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে রাজ্যপালকে, আসছে বিল

জগদীপ ধনখড়। (ছবি, সৌজন্য এএনআই)

রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিষয়ে বিল পাশ করেছে সরকারপক্ষ। এবার দ্রুততায় মসৃণভাবে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে শিক্ষার বাইরে অন্য দফতরের ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া রাজভবনকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন।

সম্প্রতি ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে ধৃষ্টতার ফল পেতে হবে বলে মুখ্যসচিবকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার এই ক্ষমতাও তাঁর থেকে কেড়ে নিতে উদ্যোগী হচ্ছে নবান্ন। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিনই পেশ হতে পারে ‘পশ্চিমবঙ্গ ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনাল (সংশোধনী) বিল ২০২২’। ট্যাক্সেশন ট্রাইবুনালের দুই শীর্ষপদ— চেয়ারম্যান এবং জুডিসিয়াল মেম্বারের নিয়োগের দায়িত্ব থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দিতেই এই বিলটি পাশ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে?‌ শুধু শিক্ষা নয়, এবার প্রশাসনের অন্য জায়গা থেকেও এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ক্ষমতা ছাঁটাই করার পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে নবান্ন। এই দায়িত্ব আগামী দিনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে যৌথভাবে রাজ্য সরকারই নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তাই আইন সংশোধনের পথেও এগোচ্ছে সরকার। সরকার মসৃণভাবে এই নিয়োগের কাজ করার জন্যই এই পরিকল্পনা করেছে বলে সূত্রের খবর। বিধানসভায় এই মর্মে সংশোধনী বিল পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।

ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল?‌ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘‌গত ১২ মে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীকে পশ্চিমবঙ্গ ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ করতে বলেছিলাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানোর একমাস কেটে গেলেও এখনও চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়নি। ধৃষ্টতার ফল পেতে হবে মুখ্যসচিবকে।’‌

উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিল পাশ করেছে সরকারপক্ষ। এবার দ্রুততায় মসৃণভাবে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে শিক্ষার বাইরে অন্য দফতরের ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে রাজভবনকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

বন্ধ করুন