সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র মৃত্যু নিয়ে যখন বিতর্ক দানা বেঁধেছে তখন তাতে বাড়তি ইন্ধন জোগালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকী এই ঘটনা জন্য কর্তৃপক্ষের অসাবধানতাকেই দায়ী করেছেন রাজ্যপাল। ‘রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’–এর কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। যদিও গতকাল পুলিশ কমিশনার অব্যবস্থা ছিল না বলেই জানিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন মেয়র? এই ঘটনার পর কেএমডিএ’র সিইও–কে সরিয়ে দেওয়া হয়। নজরুল মঞ্চে গিয়ে তদন্ত করেছে পুলিশ। আর রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জায়গায় ওঁর বসা উচিত।’ যেখানে পর পর তদন্তে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকার কোনওভাবে দায়ী নয় সেখানে রাজ্যপালের এমন মন্তব্য উস্কানিমূলক বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? শনিবার নয়াদিল্লির যাওয়ার আগে রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র মৃত্যু বেদনাদায়ক। আমাকে অনেকে ভিডিয়ো পাঠিয়েছেন। অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অসাবধানতা এবং গাফিলতির জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। ভিড় সামলানো বা তা মাথায় রেখে অনুষ্ঠান করা উচিত ছিল। ওখানে চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল।’
রাজ্যপাল কে কী তোপ দাগলেন ফিরহাদ? এদিন রাজ্যপালকে তুলোধনা করে ফিরহাদের তোপ, ‘রাজ্যপাল কার লোক? শুভেন্দু অধিকারী সরে গিয়ে সেখানে রাজ্যপালের বসা উচিত। মঞ্চে এমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি যে ওঁর (কেকে) শরীর খারাপ লাগছিল। তারপরেও উনি গ্র্যান্ড হোটেলে গিয়েছেন। সেখানে লিফটে ওঁর শরীর খারাপ লাগছিল। তা হলে কী ভাবে বোঝা যাবে ওঁর শরীর খারাপ? রাজ্যপাল আগে থেকে বুঝতে পারলে জানালেন না কেন?’