কয়েকদিন আগেই তিনি টুইট করেছিলেন পেগাসাস নিয়ে রাজ্য যে কমিশন গঠন করেছিল তার নথি চেয়ে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়া না পেয়ে শেষ সুযোগ দিচ্ছেন বলেও টুইট করেছিলেন। হ্যাঁ, তিনি রাজভবনের বাসিন্দা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাতেও নথি হাতে আসেনি। এবার কড়া ভাষায় ফের টুইট করলেন জগদীপ ধনখড়। আজ, সোমবার টুইটারে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি ও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর দাবি, সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই বিষয়ে তাঁকে অবগত করা রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে।
এই টুইটের পরই পরিষ্কার হয়ে যায় রাজভবন–নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছে। ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? সোমবার রাজ্যপাল টুইট করে লিখেছেন, ‘সংবিধানের ১৬৭ ধারা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ২৬ জুলাই, ২০২১ সালে তদন্ত কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি এবং কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত নথি দিতে বাধ্য। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোনও নথি দিতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে।’ সদ্য কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছে নালিশ ঠুকেছেন।
এবার রাজ্যপাল যে টুইট করলেন সেখানে শুধু হুঁশিয়ারি ছিল না। বরং আইন উল্লেখ করে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গড়া কমিশনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে রাজ্যপালের এই নির্দেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনি আবার এই সংক্রান্ত নথি চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, বারবার পেগাসাস নিয়ে নথি তলব করেছেন রাজ্যপাল। এবার সরাসরি দিতে বাধ্য এভাবে টুইট করেছেন। যা কার্যত নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে নিশানা করেই টুইট করেছেন। গত ৬ ডিসেম্বর প্রথম নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজভবন। তারপর ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা রাজভবনে পাঠাতে শেষ সুযোগ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এবার তিনি নির্দেশ দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।