সদ্য বিনয় তামাং–রোহিত শর্মা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সামনে শিলিগুড়ি পুরসভার নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে এবার জিটিএ প্রশাসকমণ্ডলীর উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকী গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) তহবিলে ব্যাপক গড়মিলের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। তিনি আজ সরাসরি অভিযোগ তোলেন, ‘দুর্নীতির আখড়া’য় পরিণত হয়েছে জিটিএ। শুধু তাই নয়, জিটিএ’র যাবতীয় রিপোর্ট ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন তিনি।
রাজ্যপালের এই রিপোর্ট তলব নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমনকী এক্ষেত্রে নবান্ন– রাজভবন সংঘাত দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সামনে পুরসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ জোর চর্চা বাড়িয়ে দিল জিটিএ নিয়ে। এই নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যপাল। সকালেও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাজ্যপালের রাজা নিয়ে একাধিক টুইট করেছিলেন রাজভবনের বাসিন্দা।
ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? এদিন দুপুরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটারে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিটিএ–তে একেবারে গড়বড়ে অবস্থা। জিটিএ গঠনের পর এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ক্যাগ অডিট হয়নি। জিটিএ আইন, ২০১১ এর ৫৫(১০) ধারা অনুযায়ী, জিটিএ’র কার্যকলাপের কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। জিটিএ প্রশাসক মণ্ডলী ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জিটিএ আইনের ৫৫ (১০) ধারা অনুযায়ী সমস্ত কাজের আপডেট এবং রিপোর্ট জমা করতে হবে। জিটিএ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’
উল্লেখ্য, জিটিএ নির্বাচনও খুব শীঘ্রই হওয়ার কথা। সম্প্রতি কার্শিয়াংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, নতুন ভোটার তালিকা এলেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। তারপর থেকেই সেখানে তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। এছাড়া গৌতম দেবের সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয় তামাং এবং রোহিত শর্মা। এখন পাহাড়ে বিমল গুরুংও সক্রিয়। রাজ্যপাল বারবার উত্তরবঙ্গ সফর করেছেন। আর এই টুইট এখন শোরগোল ফেলে দিয়েছে।