কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে নিজের ভোট দিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবাসরীয় সকালে সস্ত্রীক প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেলের অফিসে যান তাঁরা। তারপর সেখানে নিজেদের ভোট একে একে দেন তাঁরা। কিন্তু এই ভোট দিয়েও খুশি নন রাজ্যপাল। ভোটদানের পর বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজভবনের বাসিন্দা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি রীতিমতো অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? ভোট দেওয়ার পর রাজ্যপাল বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এক নির্দেশ জারি করেন। যেখানে বলা হয়, পোলিং বুথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেবলমাত্র নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে ঢুকতে পারবেন। আপনারা দেখেছেন, আমার নিরাপত্তারক্ষীরা সেই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেছেন।’ নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঢুকতে না পারাতেই তিনি ক্ষুব্ধ সেটা বুঝিয়ে দিলেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের এই নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘জেড প্লাস নিরাপত্তা পান এমন ভোটার কলকাতা পুর এলাকায় রয়েছেন একমাত্র পিসি ও ভাইপো। তাঁদের সুবিধার জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি।’ আর আজ, রবিবার কার্যত একই অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
উল্লেখ্য, এখন রাজ্যে জেড প্লাস নিরাপত্তা পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সেই তালিকায় নেই। বিরোধী দলনেতা এখানকার ভোটার নন। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের ভোটার। সেক্ষেত্রে তাঁর টুইট রাজ্যপালের সপক্ষেই বলে মনে করা হচ্ছে। আর রাজ্যপালের মন্তব্য বিরোধী দলনেতার টুইটের সঙ্গে মিল থাকায় সাংবিধানিক পদের মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।